শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

কালিয়ায় উপজেলা নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ 

কালিয়া (নড়াইল) প্রতিনিধি 

কালিয়ায় উপজেলা নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ 

নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার সঙ্গে নড়াইলের কালিয়ায় উপজেলা নির্বাচনের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে পুরাদমে। স্থানীয় নেতকর্মী ও প্রভাবশালীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। হাটে-বাজারে চায়ের দোকনে নিয়মিত বিচরণ করছেন তারা। 

চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সঙ্গে সমান তালে এগিয়ে চলেছেন পুরুষ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরাও। চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন, আ.লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মোল্যা ইমদাদুল হক, কালিয়া থানা আ.লীগের সভাপতি এস এম হারুনার রশীদ, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান কৃষ্ণপদ ঘোষ, উপজেলার নড়াগাতী থানা আ.লীগের সহসভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান খান শামীম রহমান ওসি, কলাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. মো. মাহামুদুল হাসান কায়েস, সালামাবাদ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শিকদার নাজমুল হক প্রিন্স, মল্লিক মাজহারুল ইসলাম, মোল্যা মিকাইল হোসেন, মো. জোবায়ের হোসেন। তবে লক্ষণীয় বিষয় হলো চেয়ারম্যান পদের সম্ভাব্য প্রার্থীরা সবাই আ.লীগ ঘরানার হলেও ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামায়াতে ইসলামির উপজেলা আমীর হাফেজ মো. জাকারিয়া সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে প্রচার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে কোন পদেই বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে মাঠে নামেনি। প্রথমধাপে ৮ মে অনুষ্ঠিত হবে নড়াইলের কালিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। 

মহিলা ও পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বসে নেই তারাও সমানতালে নির্বাচনি প্রচারে নেমে পড়েছেন। হাটবাজারের ঘুরে ঘুরে নিজেদের প্রার্থীতার জানান দিয়ে চলেছেন। চায়ের দোকানে ও রেস্টুরেন্ট বসেই প্রচার চালাচ্ছেন তারা। পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থীরা হচ্ছেন, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মো. ইব্রাহিম শেখ, মো. মাহাবুবুল আলম, আশিষ কুমার ভট্টাচার্য, মো. জাকারিয়া, আশরাফুল ইসলাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান সোহেলী পারভীন নিরি, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বিউটি আখতার, মোসা. ববিতা খানম। 

এবারের উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকায় আসন্ন নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষসহ সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে ভিন্ন ইমেজ কাজ করছে। ইতোমধ্যে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা তাদের পক্ষে সমর্থন ও দোয়া চেয়ে রাস্তার পাশে ও জনবহুল স্থানে ব্যানার টাঙিয়ে দিয়েছেন অনেকেই। প্রতিদিনই উপজেলার কোন না কোন ইউনিয়নে জনসংযোগ করে নির্বাচনি মাঠ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন কাজের অঙ্গীকার নামা সম্বলিত লিফলেটও বিতরণ করছেন তারা। 

একজন নতুন ভোটার এস এম ইজাজ উল হক বলেছেন, তিনি সদ্য ভোটার হয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র পেয়েছেন। এবারের উপজেলা নির্বাচনেই তিনি প্রথম ভোট দিবেন। আসন্ন নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকায় সকলের অংশ গ্রহণে নির্বাচনটি অন্যবারের তুলনায় বেশী উপভোগ্য ও উৎসবমূখর হবে বলে তিনি মনে করেন। 

পচাশি বছরের বৃদ্ধ উপজেলার কলাবাড়িয়া মারকাজ মসজিদের মোয়াজ্জিন সাবেক সেনাসদস্য আব্দুল কাইউম তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেছেন, যেখান থেকে দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন শুরু হয়েছে সেই থেকে তিনি ইউনিয়ন বা উপজেলা নির্বাচনে ভোট দিতে যান না। কারণ তিনি মনে করেন ক্ষমতাশীন দলের প্রার্থীর পক্ষেই বেশী মানুষ ঝোকে। 

তাই নির্বাচনের মাঠে তাদের প্রভাবটা বেশী হওয়ায় সাধারণত তারাই বিজয়ী হয়ে থাকে। তাই তিনি ভোট দানকে বেশী গুরুত্ব দেন না। তবে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলীয় মনোনয় বাদ দেয়ায় সরকারকে তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছে বলেছেন, এবার তিনি কেন্দ্রে যাবেন এবং পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন।

টিএইচ